Blogger XYZ

The Avengers ( দ্যা এভেন্জার্স )

দ্যা এভেন্জার্স

২০১২ সালে মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের এই সিনেমাটি মুক্তি পায় । দ্যা এভেন্জার্স সিনেমাটি এম সি ইউ ( মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স ) এর ৬ তম মুভি । পরিচালক জস ওয়েডন এই মুভিটি পরিচালনা করেছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে জাস্টিস লিগ সিনেমাটিও পরিচালনা করেছিলেন। পরিচালক জ্যাক স্নাইডার তার কিছু সমস্যার কারনে মুভিটি অর্ধেক করেই চলে জায় যার ফলে ২০১৭ সালে জাস্টিস লিগ মুভিটির উপরে একটি খারাপ প্রভাব পরে। আজকে আমরা দ্যা এভেন্জার্স মুভি সম্পর্কে আলোচনা করবো।

মুভির শুরুতেই আমরা পৃথিবীর বাইরের একটা জগতকে দেখতে পাই। একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন এলিয়েন প্রজাতি জাদেরকে বলা হয় দ্যা আদার আসগার্ডিয়ান লকি তাদের সাথে দেখা করে। লকি তাদের সাথে একটি চুক্তি করে। আমাদের পৃথিবীতে একটি শক্তিশালী বস্তু আছে যেটাকে টেসার্যাক্ট বলে। লকি ওই এলিয়েনদের ওই টেসারেক্ট কিউব এনে দিবে তার বদলে তারা লকিকে তাদের চিতাউরি নামক সেনাবাহিনী দেবে এবং লকি তাদের মাধ্যমে এই পুরো পৃথিবীতে রাজত্ব করবে। তারপরে আমরা পৃথিবীর একটি দৃশ্য দেখতে পাই।

একটি সম্পূর্ণ গোপন একটি স্থান যেখানে নাসা এবং শীল্ড একটি যৌথ অপারেশান পরিচালনা করছে। সেখানে আমরা শীল্ডের পরিচালক নিক ফিউরিকে দেখতে পাই।তার সাথে ছিল মারিয়া হিল এবং এজেন্ট ফিল কোলসন। তারা একটা জিনিসের ওপরে কাজ করতেছিল আর সেটা হোল টেসার্যাক্ট। তারা টেসারেক্ট কিউব এর শক্তি ব্যাবহার করার চেষ্টা করতেছিল। কিন্তু হঠাৎ টেসারেক্ট সক্রিয় হয়ে ওঠে।

ডঃ এরিক সেলভিগ নিক ফিউরিকে বলে যে টেসারেক্ট কিউবটি এমনভাবে প্রক্রিয়া দেখাতে শুরু করে যা এটি আগে কখনো করেনি। সেখানে আমরা ক্লিন্ট বার্টনকে দেখতে পাই। ক্লিন্ট বার্টন নিক ফিউরিকে বলে টেসার্যাক্ট অন্য মাত্রার দরজা খুলতে পারে। ঠিক তখনি টেসারেক্ট সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং একটি পোর্টাল খুলে দেয় আর সেখান থেকে লকি বেরিয়ে আসে। লকি সেখানকার নিরাপত্তা করমিদের উপরে হামলা করে।

লকির কাছে একটি এসকেপ্টের ছিল যেটা দিয়ে ক্লিন্ট এবং এরিক সেলভিগকে নিজের বশে করে নেয়। নিক ফিউরি টেসারেক্টটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু লকি তা দেখে ফেলে তাই সে টেসার্যাক্টটি নিয়ে পালাতে পারেনি। অন্যদিকে টেসারেক্ট সক্রিয় হয়ে একটি শক্তির উৎস দেখা দেয় যার ফলে সেখানে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে। সৌভাগ্যবশত নিক ফিউরি এবং তার লকেরা বিস্ফোরণের আগেই বেরিয়ে পড়ে।

তারপরে নিক ফিউরি তার হেলিকপ্টার দিয়ে লকির পিছনে যায় তাকে আটকানোর জন্য কিন্তু লকি তার সেই এসকেপ্টের দিয়ে নিক ফিউরির হেলিকপ্টারে হামলা করে এবং হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত করে। লকি সেখান থেকে গারিতে করে চলে যায়। নিক ফিউরি কোনমতে সেখান থেকে বেচে যায়। তিনি এজেন্ট কোলসনকে জরুরি ঘোষণা করার জন্য কল করেন। লোকির দখলে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস টেসারেক্ট আছে। যার সাহায্যে লোকি যা খুশি করতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করবে কে? অবশ্যই, নিক ফিউরি এতদিন ধরে যেটার অপেক্ষা করছেন, সেটি হল দ্যা এভেন্জার্স!

তারপরের সিনে আমরা নাতাশাকে দেখতে পাই যে কিছু রাশিয়ান তাকে আটকে রেখেছে। তখন এজেন্ট কোলসন সেই রাশিয়ানদের নাতাশাকে ছেরে দিতে বলে। যদিও তারা তাকে ছারতে রাজি হয় না কিন্তু পরে নাতাশা তাদেরকে মেরে সেখান থেকে চলে আসে। এজেন্ট কোলসন নাতাশাকে বলে তাকে একজনকে খুজতে হবে আর সেটা হোল ব্রুস ব্যানার অর্থাৎ হাল্ক। নাতাশা ব্রুস ব্যানারকে খুজে বের করে এবং তাকে জানায় শিল্ড তাকে ডেকেছে।

তাকে একটি কাজ করতে হবে আর সেটা হোল টেসার্যাক্ট কিউব। ব্রুস ব্যানার এই মিশনে রাজি হয়। তারপরে আমরা দেখতে পাই নিক ফিউরি বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদের সাথে মীটিং করছে এবং তাদের বলে এভেঞ্জারস লোকদের এই বিপদ থেকে বাচাতে পারবে তাই আর্মিদের এই মিশনে জড়িত করা উচিত হবে না। তারপরে নিক ফিউরি ক্যাপ্টেন আমেরিকার সাথে নিজে দেখা করতে যায় এবং তাকেও এই মিশনে রাজি করে। তারপরের সীনে আমরা টনি স্টার্ক মানে আয়রন ম্যানকে দেখতে পাই। এজেন্ট কোলসন টনি স্টার্কের সাথে দেখা করে তাকেও এই মিশনের জন্য রাজি করে।

তাদের সবাইকে শিল্ডের হেলিক্যারিয়ারে একত্রিত করে। সেখানে আমরা দেখতে পাই নিক ফিউরি লকিকে খুজছেন এবং অনেক খোঁজার পর তারা লোকিকে জার্মানিতে খুঁজে পান। লকি ডঃ এরিক সেলভিগ এর সাহায্যে টেসারেক্ট কিউবটি সক্রিয় করতে চাই কিন্তু তার জন্য ইরিডিয়াম নামক একটি ধাতুর প্রয়োজন যেটা জার্মানির একটি জাদুঘরে আছে। লকি সেখান থেকে ইরিডিয়াম নিয়ে যায়। সেখানে সে লোকেদের তার সামনে হাঁটু গেরে বসতে বলে এবং তার ক্ষমতা দেখে সবাই বসে পরে।

তখন ক্যাপ্টেন আমেরিকা ও আয়রন ম্যান তারা সবাই সেখনে চলে আসে এবং লকিকে তারা সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারা লকিকে প্লেনে করে নিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনি সেখানে থর এসে লকিকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। থর লকিকে আসগার্ড নিয়ে যেতে এসেছে কিন্তু লকি যেতে রাজি হয় না। সেই মুহূর্তে আয়রন ম্যান এসে থর এর সাথে লরাই করতে শুরু করে। ক্যাপ্টেন আমেরিকা এসে তাদেরকে থামায়। তারা শিল্ডের হেলিক্যারিয়ারে লকিকে বন্দি করে রাখে এবং সেখানে তারা থর এর সাথে কথা বলে। থর লকিকে আসগার্ড নিয়ে যাবে কারন তার বিচার সেখানে হবে।

হেলিক্যারিয়ার এর ভিতরে টনি স্টার্ক এবং ব্রুস ব্যানার টেসারেক্ট কিউবটি খুজতে থাকে তখনি তারা জানতে পারে যে শিল্ড টেসারেক্ট কিউব দিয়ে অস্ত্র বানায়। এটা জানার পরে সবার সাথে জগরা শুরু হয়। যেটা দেখে লকি খুশি হচ্ছিল। লকি কে খুজতে ক্লিন্ট বার্টন শিল্ডের হেলিক্যারিয়ারে চলে আসে হেলিক্যারিয়ারে হামলা করে একটা ইঞ্জিন নষ্ট করে ফেলে। তখন ব্রুস ব্যানার হাল্ক এ পরিণত হয়। ক্যাপ্টেন আমেরিকা এবং আয়রন ম্যান হেলিক্যারিয়ারটি ঠিক করে আর থর হাল্ককের সাথে মারা মারি করে।

এক পর্যায় হাল্ক হেলিক্যারিয়ার থেকে নিচে পরে যায়। লকি এজেন্ট কোলসনকে মেরে থরকেও হেলিক্যারিয়ার থেকে নিচে ফেলে দেয়। লকি সেখান থেকে পালিয়ে চলে যায়। নাতাশা ক্লিন্ট বার্টন এর সাথে লড়াই করে তাকে বেহোশ করে। তারপরে তারা সবাই একসাথে হয়ে লকির সাথে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হয়। লকির মেশিনটি অ্যাক্টটিব করার জন্য অনেক বৈদ্যুতিক শক্তির প্রয়োজন তাই সে টনি স্টার্ক এর স্টার্ক টাওয়ারে মেশিনটি সেট করে।

টনি স্টার্ক সেখানে গিয়ে মেশিনটি বন্দ করতে চায় কিন্তু পারে না। তখন সে লকিকে তার কথার ছলে রেখে তার নতুন আয়রন ম্যান সুট বের করে। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। টেসারেক্ট কিউব অ্যাক্টটিব হয়ে আকাশে একটি বড় পোর্টাল খুলে দেয় সেখান থেকে চিতাউরি আর্মি বেরিয়ে আসে আর পুরো শহরে হামলা করতে থাকে। তখন আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, নাতাশা, হকাই তাদের সাথে লড়াই শুরু করে।

তখন থর এসে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে লকির সেনাদের মারতে থাকে। তার কিছু সময় পরে ব্রুস ব্যানার সেখানে চলে আসে। ব্রুস ব্যানার হাল্ক এ পরিণত হয়ে তাদের সাথে লকির সেই চিতাউরি আর্মিদের একের পর এক শেষ করতে থাকে। এভেঞ্জারসরা অনেকক্ষণ লকির সেনাদের সাথে লড়াই করে কিন্তু লকির আর্মি শেষই হচ্ছিল না। এভেন্জার্সরাও লকির আর্মির সামনে দুর্বল হতে থাকে। তখন ওয়ার্ল্ড সিকুরিটি কাউন্সিল এর লোক নিউ ইয়র্ক শহরে নিউক্লিয়ার বম এর হামলা করে যাতে লকির সেই এলিয়েন আর্মি শেষ হয়ে যাই।

কিন্তু তাতে নিউ ইয়র্ক শহর ও শেষ হয়ে যাবে। এর জন্য আয়রন ম্যান বমটাকে ধরে সেই পোর্টালের ভিতরে নিয়ে যায়। যার ফলে পুরো চিতাউরি আর্মি শেষ হয়ে যাই এবং পুরো শহর বেচে যায়। তখন নাতাশা সেই পোর্টালটি বন্ধ করে দেয়। আয়রন ম্যান সেই পোর্টালটি বন্ধ হওয়ার আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসে আকাশ থেকে পরতে থাকে। তখন হাল্ক আয়রন ম্যানকে ধরে ফেলে এবং আয়রন ম্যান বেচে যায়।

তারপরে সব হিরো মিলে লকিকে আটক করে নেয়। থর লকিকে নিয়ে আসগার্ড চলে যায়। থর টেসারেক্ট কিউবটিও তার সাথে নিয়ে যায় যেন পৃথিবীর লোক এটিকে কোন খারাপ কাজে ব্যাবহার না করেতে পারে। তারপরে সব হিরো তাদের নিজ নিজ জীবনে ফিরে যায়। পুরো দুনিয়া এভেন্জার্স এর ফ্যান হয়ে গেছে। সবাই তাদের প্রশংসা করে। নিক ফিউরি তার এই দলকে নিয়ে অনেক খুশি ছিল। তার বিশ্বাস ছিল যে আবার প্রয়োজন পরলে এভেন্জার্সরা আবার আসবে।

Exit mobile version