অ্যান্ট-ম্যান মুভি ব্যাখ্যা

অ্যান্ট-ম্যান

এম সি ইউ অর্থাৎ মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ১২ তম এই মুভিতে অনেক ছোট এবং শক্তিশালী একজন সুপার হিরোর ক্যারেক্টারকে দেখানো হয়েছে। ২০১৫ সালে অ্যান্ট-ম্যান মুভিটি প্রকাশিত হয়। এই মুভিতে একটি নতুন ডাইমেনশন দেখা যায়। পাশাপাশি এই মুভিটিতে কমেডি এবং অ্যাকশন সিন রয়েছে।

অ্যান্ট-ম্যান মুভি ব্যাখ্যাঃ

এই মুভির গল্পটি হলো হ্যাংক পিম নামের একজন ব্যক্তির। যে কিনা একজন ফিজিসিস্ট এবং এন্টোমোলজিস্ট ছিলেন। তিনি শিল্ডের জন্য কাজ করতেন। হ্যাংক পিম এমন একটি পার্টিক্যাল তৈরি করে যেটি যেকোনো জিনিসকে ছোট বা বড় করতে পারে। হ্যাংক ওই পার্টিক্যালের নাম দিয়েছিল পিম পার্টিক্যালস। এই পার্টিক্যালস ব্যবহার করে তিনি একটি সুট তৈরি করে, যেটা পরে কোনো মানুষ একটি পিঁপড়ার মতো ছোট হতে পারবে।

ছোট হওয়ার পরেও তার শক্তি একজন বড় মানুষের মতই ছিল। এই সুটের জন্য হ্যাংক পিমের নাম হয়েছিল অ্যান্ট ম্যান। এটি ছাড়াও হ্যাংক এমিন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলো যেটার সাহায্যে সে সব ধরনের পিঁপড়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। হ্যাংক এর স্ত্রী জ্যানেট একজন শিল্ডের এজেন্ট ছিল। হ্যাংক তার স্ত্রী জ্যানেটের জন্যও একটি সুট তৈরি করে। হ্যাংক সেই সুটটির নাম ওয়াস্প রেখেছিল। হ্যাংক এবং জ্যানেট অর্থাৎ আন্ট-ম্যান এবং ওয়াস্প শিল্ডের মিশনে কাজ করতো।অ্যান্ট-ম্যান

১৯৮৭ সালে রাশিয়া আমেরিকাতে একটি নিউক্লিয়ার বোমা নিক্ষেপ করে তখন হ্যাংক এবং জ্যানেটকে ওই বোমটাকে নষ্ট করার জন্য পাঠায়। বোমাটি টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি ছিল তাই বোমটি নষ্ট করা খুব কঠিন ছিল। বোমটির ভিতরে যাওয়ার জন্য এটম এর থেকেও ছোট হওয়া প্রয়োজন। আন্ট-ম্যানের সুট আরো ছোট হতে পারে। কিন্তু তখন  হ্যাংকের রেগুলেটর নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাই সে ছোট হতে পারেনি। এর জন্য জ্যানেট তার রেগুলেটর বন্ধ করে সাব এটোমিক লেভেলে চলে যায় যার ফলে বোমাটি নষ্ট হয়ে যায়।

কিন্তু জ্যানেট কোয়ান্টাম রিয়েল এ আটকা পড়ে যায়। কারণ তার  সুটে কোয়ান্টাম  রিয়াল থেকে বের হওয়ার জন্য কোন টেকনোলজি ছিল না। কিন্তু হ্যাংকের নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল সে কোয়ান্টাম  রিয়াল থেকে তার স্ত্রীকে বের করে আনতে পারবে। এই জন্য সে তার চেষ্টা চালিয়ে যায়।

হ্যাংকের একটি মেয়ে ছিল। তার মেয়েকে সে বলেছিল তার মা একটি প্লেন দুর্ঘটনায় মারা  গিয়েছিল। তার মেয়েকে একটি বোর্ডিং স্কুলে দিয়ে দেয় যাতে করে হ্যাংক কোয়ান্টাম রিয়েলের স্টাডি করতে পারে। কিন্তু হোপ ভেবেছিল তার বাবা তাকে ভালোবাসে না এবং তার মায়ের মৃত্যুর ঘটনা তার কাছ থেকে লুকিয়ে ছিল। তাই হোপ  তার বাবাকে ঘৃণা করতে শুরু করে।

হ্যাংক জ্যানেটের মৃত্যুর দুই বছর পর শিল্ড ছেড়ে দেয় কারণ শিল্ড এর লোকেরা তার ফর্মুলা কপি করতে চেয়েছিল। হ্যাংক এর মতে পিম পার্টিক্যালস অনেক বিপদজনক যেটা  দুনিয়ার লোকজন খারাপ ভাবে  ব্যবহার করবে। তাই তার এ ফর্মুলা শিল্ডকেও দেয়নি। শিল্ড থেকে বেরিয়ে আসার পর   হ্যাংক তার নিজের কোম্পানি চালু করে পিম টেকনোলজি।অ্যান্ট-ম্যান

হ্যাংক তার কোম্পানি থেকেও তার এই ফর্মুলাটি লুকিয়ে রাখেন। কিছু বছর পর হ্যাংকের মেয়ে হোপ ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান হয়ে যায়। সেই কোম্পানিতে ড্যারেন ক্রস নামে এক ব্যক্তি হ্যাংক এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিল। সে হ্যাংকের কাছাকাছি থেকে তার মন জয় করেছিল এবং তার ছেলের মত ছিল।

যখন ড্যারেন পিম পার্টিক্যালস এবং  অ্যান্ট ম্যানের সুট সম্পর্কে জানতে পারে তখন সে হ্যাংকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। যার কারণে হ্যাংক তার কাছ থেকে ড্যারেনকে দূরে সরিয়ে দেয়। এর জন্য ড্যারেন হোপের সাহায্যে হ্যাংকে তার নিজের কোম্পানি থেকে বের করে দেয় এবং সে ওই কোম্পানির নতুন সি ই ও হয়ে যায়।

সে অনেক রিসার্চ করে পিম পার্টিক্যালসের নকল তৈরি করে ফেলে। যেটার নাম দিয়েছিল ক্রস পার্টিক্যালস। সে অ্যান্ট ম্যানের সুট নকল করে একটি এডভান্স সুট তৈরি করে যেটার নাম দিয়েছিল ইয়েলো জ্যাকেট। কিন্তু সে পার্টিক্যালসটি সঠিকভাবে তৈরি করতে পারিনি তাই সে তার নিজের চেষ্টায় চালিয়ে  যাচ্ছিল।অ্যান্ট-ম্যান

সে তার ইয়েলো জ্যাকেটটি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে চেয়েছিল। এইসব দেখে হোপ তার বাবার কাছে গিয়ে সবকিছু বলে। ড্যারেনকে আটকানোর জন্য বাপ ও মেয়ে এক হয়ে যায়। হ্যাংক তাকে এই কাজটি করতে বারণ করেছিল। কিন্তু ড্যারেন তার কোন কথা শোনে না।

ড্যারেনকে আটকানোর জন্য তারা সেই সুটটিকে চুরি করে কোম্পানি শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। যেটা করার জন্য শুধুমাত্র অ্যান্ট ম্যানের সুট ব্যবহার করার প্রয়োজন ছিল। হ্যাংকের বয়স বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে সে ওই সুটটি ব্যবহার করতে পারে না। হ্যাংকের মেয়ে সেই সুটটি পড়তে চেয়েছিল কিন্তু হ্যাংক তাকে সুটটি পড়তে দেয়নি। কারণ তার ভয় ছিল তার মেয়ে হোপ তার মায়ের মত কোয়ান্টাম রিয়েলে আটকা পড়ে যাবে।

হোপ তার মায়ের সত্যিটা জানতো না তাই সে ভেবেছিল তার বাবা তার প্রতি কোনো বিশ্বাস নাই। এই কাজটি করার জন্য হ্যাংক এমন একজনকে খুজছিল যে কিনা খুব সহজেই অ্যান্ট ম্যান এর সুটটি পড়ে চুরি করতে পারে। তখন সে স্কট ল্যাং এর সম্পর্কে জানতে পারে। স্কট একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিল।

একটি কোম্পানিতে চুরি করার ফলে ২০১২ সালে স্কটের ৩ বছরের জেল হয়। সে যখন জেলে ছিল তখন তার স্ত্রী প্যাক স্টোন নামের একজন পুলিশ অফিসারের সাথে এনগেজমেন্ট করেন। ২০১৫ সালে সে জেল থেকে বেরিয়ে আসে। তখন তার কাছে কোন চাকরি ছিল না। সে তার ফ্রেন্ড লুইস এর সাথে ছিল।অ্যান্ট-ম্যান

তার স্ত্রীর সাথে তালাক হয়ে যায় কিন্তু তারপরও তার মেয়েকে অনেক ভালোবাসতো। তার মেয়েও তাকে অনেক ভালোবাসতো। স্কটের ক্রিমিনাল রেকর্ড এর কারনে তার জন্য চাকরি খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। স্কটের সম্পর্কে সবকিছু জেনে হ্যাংক আর কাজের জন্য স্কটকে বেছে নেয়। হ্যাংক স্কটের দক্ষতা যাচাই করার জন্য সে চালাকি করে তার নিজের ঘরে স্কটকে চুরি করতে পাঠায়।

হ্যাংক তার উপর নজর রেখেছিল। স্কট হ্যাংকের বাসায় চুরি করতে গিয়ে দেখে সেখানে কোন টাকা পয়সা ছিল না বরং সেখানে অ্যান্ট ম্যান সুট পড়েছিল। স্কট কিছু না পেয়ে সেই সুটটি চুরি করে নিয়ে আসে। বাসায় ফিরে স্কট যখন সেই অ্যান্ট ম্যান পড়েছিল তখন সে পিপড়ার মত ছোট হয়ে গেছিল। স্কট এটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না।

এইসব দেখে স্কট অনেক ভয় পেয়েছিল। তাই সে অ্যান্ট ম্যান সুটটি ফেরত দিতে হ্যাংকের বাসায় যায়। স্কট যখন বাসা থেকে বের হয় তখন তাকে পুলিশ আটক করে। হোপ স্কটকে এই কাজ থেকে দূরে রাখার জন্য সে পুলিশ দিয়ে স্কটকে আটক করে। কারণ হোপ নিজেই এই কাজটি করতে চেয়েছিল।

হ্যাংক পিম স্কটের সাথে দেখা করার জন্য জেলে চলে আসে এবং তাকে বলে সে নিজেই তার সুটটি স্কটকে চুরি করতে দিয়েছিল। হ্যাংক স্কটকে বলে সে তাকে জেল থেকে বের হতে সাহায্য করবে এবং তার বদলে তাকে একটি কাজ করতে হবে। হ্যাংক সেখান থেকে চলে যায়। সে তার অ্যান্ট ম্যান সুটটিকে ছোট করে তার পিপড়ার মাধ্যমে স্কট এর কাছে নিয়ে যায়।

স্কট সেই সুট পড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। হ্যাংকের পিপড়ার মাধ্যমে স্কট হ্যাংকের এর বাসায় চলে আসে। সেখানে তার সাথে হোপ এর দেখা হয়। হোপ এবং হ্যাংক স্কটকে বলে যে তাকে কি করতে হবে। স্কটের কাছে কোন চাকরি না থাকায় টাকা উপার্জন করার জন্য এই কাজটি করতে রাজি হয়ে যায়।অ্যান্ট-ম্যান

হ্যাংক এবং হোপ  স্কটকে ট্রেনিং দেওয়া শুরু করে। হ্যাংক স্কটকে অ্যান্ট ম্যান সুট ব্যবহার করা শিখায় এবং হোপ তাকে ফাইটিং স্কিলস শিখায়। ধীরে ধীরে স্কট সুটটি ব্যবহার করা শিখে যায় এবং সে সব ধরনের পিঁপড়াকে নিজে কন্ট্রোল করতে পারে। অ্যান্ট ম্যান সুটে কোন হাতিয়ার ছিল না তাই হ্যাংক দুই ধরনের ডিস্ক বানিয়েছিল

লাল রং এর ডিস্ক দিয়ে যে কোন জিনিসকে ছোট করা যেত আর নীল রং এর ডিস্ক দিয়ে যে কোন জিনিসকে বড় করা যেত। অন্যদিকে ড্যারেন তার নিজের টেকনোলজি তৈরি করতে সফল হয়েছিল। ড্যারেনকে আটকানোর জন্য এই মিশনে একটি ডিভাইস দরকার ছিল যেটা হাওয়ার্ড স্টার্কের গোডাউনে ছিল। হ্যাংক সেই ডিভাইসটি আনার জন্য স্কটকে সেখানে পাঠায়।

স্কট সেখানে গিয়ে দেখে সেটা এখন এভেন্জার্সের নতুন হেডকোয়ার্টার। এটা দেখার পর হ্যাংক স্কটকে ফিরে আসতে বলে কিন্তু স্কট তার কথা না শুনে সেখানে চলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর স্যাম উইলসন অর্থাৎ ফ্যালকন সেখানে চলে আসে। স্কট তার সাথে লড়াই করে তার সুট নষ্ট করে সেই ডিভাইসটি চুরি করে নিয়ে আসে।অ্যান্ট-ম্যান

ড্যারেন জানতে পারে হ্যাংক ইয়ালো জ্যাকেট চুরি করার জন্য স্কটকে রেখেছিল। তার জন্য ড্যারেন তার কোম্পানির সিকিউরিটি বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে তাদের এ মিশন অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তাই স্কট তার তিন বন্ধুকে এ মিশনে যুক্ত করে। স্কট পিঁপড়ার সাহায্যে কোম্পানির ভিতরে ঢুকে যায়। তার তিন বন্ধু সেই কোম্পানির সিস্টেম হ্যাক করে তাকে সাহায্য করে।

স্কট সে কোম্পানির সব জায়গাতে বোম লাগিয়ে দেয়। ড্যারেন তার ইয়াল জ্যাকেটটি হাইড্রা এবং টেন রিং নামে অর্গানাইজেশন এর কাছে বিক্রি করতেছিল। তখন স্কট সেই চেম্বারে  চলে আসে যেখানে  ইয়েলো জ্যাকেট রাখা ছিল। তখন ড্যারেন সেখান থেকে তার সুটটি বের করে এবং স্কটকে আটক করে। ড্যারেন তখন হ্যাংকে মারতে যায়। স্কট তার সেই নীল রঙের ডিস্ক ব্যবহার করে সেই চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসে।

সেখানে হোপ এবং স্কটের সাথে সবার লড়াই শুরু হয়ে যায়। যার ফলে হ্যাংকের গায়ে গুলি লাগে। ড্যারেন সেখান থেকে তার সুটটি নিয়ে একটি হেলিকপ্টারে পালিয়ে যাচ্ছিল। ড্যারেন যখন দেখেছিল তার কোম্পানি ধ্বংস হয়ে গেছে তখন সে তার  সেই সুট পড়ে স্কটের সাথে লড়াই করতে থাকে।অ্যান্ট-ম্যান

একটা পর্যায়ে তারা দুজন হেলিকপ্টার থেকে পড়ে যায় এবং একটি বাড়ির উপরে গিয়ে পড়ে। সেখানে স্কট ড্যারেনকে ইনসেক্ট কিলার একটি মেশিনে আটকিয়ে দেয়। তখন সেখানে প্যাক স্টোন এসে স্কটকে আটক করে নেয়। ড্যারেন সেখান থেকে বেরিয়ে স্কটের মেয়ে ক্যাসিকে আটোক করে।

এই খবর শুনে স্কট সেখানে চলে যায় এবং সেখানে ড্যারেনের সাথে  স্কটের লড়াই শুরু হয়ে যায়। ড্যারেনের সুট টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি ছিল তাই তার সুটটিকে নষ্ট করা অনেক কঠিন ছিল। তাই স্কট তার সুটের রেগুলেটর বন্ধ করে এটম মত ছোট হয়ে ড্যারেনের সুটের ভিতরে ঢুকে তার সুটটি নষ্ট করে দেয়। যার ফলে ড্যারেন অনেক ছোট হয়ে ফেটে যায়।

স্কট তার সুটের রেগুলেটর বন্ধ করার ফলে সে সাব অ্যাটমিক লেভেলে ছোট হয়ে কোয়ান্টাম রিয়েলে আটকা পড়ে যায়। স্কট তার সেই নীল রঙের ডিক্স ব্যবহার করে কোনভাবে সেই কোয়ান্টাম রিয়েল থেকে বেরিয়ে আসে। স্কটের এই সাহসিকতা দেখার পর প্যাক স্টোন তার ওপর লেগে থাকা সব কেস সরিয়ে ফেলে।

হ্যাংক এটা শোনার পর অবাক হয়েছিল যে স্কট কোয়ান্টাম রিয়েল থেকে ঠিকভাবে ফিরে এসেছে। হ্যাংক ভেবেছিল তার স্ত্রী হয়তো এখনো সেখানে জীবিত আছে তাই তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সে আবার কোয়ান্টাম রিয়েলের স্টাডি করতে থাকে।অ্যান্ট-ম্যান

মুভির মিট ক্রেডিট সিনে আমরা দেখতে পাই হ্যাংক তার মেয়েকে ওয়াস্পের সুট দেখায়। যেটা হ্যাংক এবং তার স্ত্রী জ্যানেট তারা দুজনে মিলে তৈরি করেছিল। হ্যাংক সেই সুটটি হোপকে দিতে চেয়েছিল।

মুভির পোস্ট ক্রেডিট সিনে আমরা দেখতে পাই স্যাম, স্টিভ এবং বাকি একটি গোডাউনে লুকিয়ে আছে এবং তাদের সাহায্যের প্রয়োজন। তখন স্যাম ক্যাপ্টেনকে বলে সে একজনকে জানে যে তাদেরকে সাহায্য করতে পারে। স্যাম  স্কট ল্যাং অর্থাৎ অ্যান্ট ম্যানের কথা বলেছিল। এরপরের কাহিনী সিভিল ওয়ার এ দেখানো হয়েছে।

Leave a Comment